আজ || রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫
শিরোনাম :
  গোপালপুরে এসএসসি পরীক্ষায় কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা       ধনবাড়ি মডেল প্রেসক্লাবে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদ ও দোয়া       গোপালপুরে মরহুম আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট       টাঙ্গাইল-২ আসনে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী শাকিল উজ্জামান       গোপালপুরে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ       গোপালপুরে শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ করেন সালাম পিন্টু       গোপালপুরে বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ছাত্রদলের বিক্ষোভ       গোপালপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় জুলাই শহীদ দিবস পালিত       গোপালপুরে বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল       গোপালপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় ১২ মামলার আসামি চাকমা জাহাঙ্গীর নিহত    
 


গোপালপুরে অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন ব্লু হোয়েল সুইসাইড গেমে আসক্ত তরুণ

নিজস্ব সংবাদদাতা :
নিশ্চিত মৃত্যুর ফাঁদ হিসেবে আলোচিত আতঙ্কিত ব্লু হোয়েল সুইসাইড গেম খেলতে গিয়ে অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন হৃদয় (২০) নামে এক তরুণ। সে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার আলমনগর বয়ড়াপাড়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী আমজাদ আলীর ছেলে।
এ সংবাদে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েলে হৃদয়কে দেখতে তার বাড়ীতে ঢল পড়ছে কৌতুহলী জনতার।
সরেজমিনে জানাযায়, হৃদয় ঢাকার গাজীপুরে একটি পেপার মিলে চাকুরি করে। দীর্ঘদিন ফেসবুক ব্যবহারের মাধ্যমে ব্লু হোয়েল সুইসাইড গেম খেলায় আসক্ত হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে গত ১১ অক্টোবর তার ফেসবুক আইডিতে হাতে ব্লেড দিয়ে কেটে আঁকা তিমি মাছের একটি ছবি পোষ্ট করে। ছবিটি ফেসবুকের মাধ্যমে হৃদয়ের মামা সৌদি প্রবাসী কবির হোসেনের নজরে আসে। কবির বিষয়টি তাৎক্ষনিক সৌদি থেকে তার স্বজনদের জানালে আতঙ্কিত পরিবারের লোকজন গত বুধবার রাতে হৃদয়কে গাজীপুর থেকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে।
হৃদয় জানান, গত ২০ সেপ্টেম্বর মোবাইল ফোনে নেট অন করার সাথে সাথে মোবাইল স্কিনে একটা অ্যাপ ভাসতে থাকে। ব্লু হোয়েল সম্পর্কে আমি শুনেছি, তারপরও কৌতুহল বসত আ্যাপটি ওপেন করি। এরপর একটা কল আসে আমি রিসিব করলে একজন অ্যাডমিনের নির্দেশে শুরু হয় গেমস খেলা। আস্তে আস্তে বেশ কিছু মজার মজার ধাপ খেলতে খেলতে আসে চ্যালেঞ্জিং পর্ব।
২০ দিন যাবৎ গেমটির কত পর্ব খেলেছে বা কি কি কাজ করেছে এমন প্রশ্নের সুনির্দিষ্ট কোন জবাব দিতে পারেনি হৃদয়। তিনি জানান, আমার তেমন কিছু মনে নেই, তবে গেমটি খেলতে খেলতে আমার হাতে তিমি মাছের ছবি আঁকতে বলা হয়েছিল। আমার হাত কেটে কিভাবে ছবি আঁকেছি আমি জানি না। রাতে কি করছি আমার কিছুই মনে পড়ছিল না।
হৃদয়ের নানা আব্দুল হামিদ বলেন, আমরা হৃদয়কে নিয়ে ভীষণ চিন্তিত হয়ে পড়েছি। তার মোবাইলসহ সীমকার্ড বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এইসব জীবনঘাতী গেম যেন কোন ছেলে-মেয়েদের হাতে পৌঁছাতে না পারে সেই ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ করছি।
হৃদয়ের মা হাজেরা বেগম ছেলের প্রাণ হারানোর ভয়ে ভেঙ্গে পড়েছেন। তারও দাবি এমন মরণ খেলা যেন কোন সন্তানের কাছে না আসে। হৃদয়কে পারিবারিক কড়া নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তার শাররিক ও মানসিক অবস্থা এখন শঙ্কামুক্ত।
এদিকে ব্লু হোয়েল সুইসাইড গেম খেলায় আসক্তের এ সংবাদটি ছড়িয়ে পড়ায় উপজেলার অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

মন্তব্য করুন -


Top
error: Content is protected !!